TECH_FREM | BANGLA TECH BLOG☑️

Tech_Frem IS BEST LEARNING ZONE

কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের দাম

কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এর কয়টি অংশ
কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের দাম (২০২৪ সালের এপ্রিল মাস)

আজকের দিনে, কম্পিউটার আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু, নতুন কম্পিউটার কেনার সময়, বিভিন্ন যন্ত্রপাতির দাম সম্পর্কে জানাটা আমাদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।


আমরা ঢাকার বাজারে কম্পিউটারের বিভিন্ন জনপ্রিয় যন্ত্রপাতির আনুমানিক দাম সম্পর্কে জানব।

.

কিছু গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি:

  • প্রসেসর (CPU): কম্পিউটারের মস্তিষ্ক। Intel Core i3, i5, i7, AMD Ryzen 3, 5, 7 ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের প্রসেসর পাওয়া যায়।

  • মাদারবোর্ড (Motherboard): CPU, RAM, GPU, HDD/SSD ইত্যাদি যন্ত্রপাতি সংযুক্ত করার জন্য একটি প্লেট।

  • র‍্যাম (RAM): ডেটা স্টোর করার জন্য দ্রুত মেমোরি। 4GB, 8GB, 16GB, 32GB ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষমতার RAM পাওয়া যায়।

  • গ্রাফিক্স কার্ড (Graphics Card): ভিডিও গেম, গ্রাফিক্স ডিজাইন ইত্যাদির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। Integrated graphics, entry-level, mid-range, high-end ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের গ্রাফিক্স কার্ড পাওয়া যায়।

  • হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ (HDD): ডেটা স্টোরেজের জন্য দীর্ঘস্থায়ী মেমোরি। 500GB, 1TB, 2TB, 4TB ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষমতার HDD পাওয়া যায়।

  • সলিড স্টেট ড্রাইভ (SSD): HDD-এর চেয়ে দ্রুত এবং আরও নির্ভরযোগ্য ডেটা স্টোরেজ। 120GB, 250GB, 500GB, 1TB ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষমতার SSD পাওয়া যায়।

  • কেসিং (Casing): কম্পিউটারের সকল যন্ত্রপাতি ধারণ করার জন্য একটি বাক্স।

  • পাওয়ার সাপ্লাই (Power Supply): কম্পিউটারের সকল যন্ত্রপাতিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।

  • মনিটর (Monitor): কম্পিউটারের স্ক্রিন। 19 inch, 21.5 inch, 24 inch, 27 inch, 32 inch ইত্যাদি বিভিন্ন আকারের মনিটর পাওয়া যায়।

ঢাকার বাজার অনুযায়ী কিছু জনপ্রিয় কম্পিউটার যন্ত্রাংশের আনুমানিক দাম নীচে দেওয়া হলো:

প্রসেসর (CPU):

কম্পিউটারের জগতে প্রসেসর (CPU) গুরুত্বপূর্ণ একটি যন্ত্রাংশ। একে আমরা কম্পিউটারের মস্তিষ্ক বলেও অভিহিত করতে পারি। কারণ, প্রসেসরই সকল নির্দেশাবলী পড়ে এবং সেগুলো কার্যকর করে।


  • Intel Core i3: ৳ 8,000 - ৳ 15,000

  • Intel Core i5: ৳ 15,000 - ৳ 30,000

  • Intel Core i7: ৳ 30,000 - ৳ 60,000

  • AMD Ryzen 3: ৳ 8,000 - ৳ 12,000

  • AMD Ryzen 5: ৳ 12,000 - ৳ 25,000

  • AMD Ryzen 7: ৳ 25,000 - ৳ 50,000

প্রসেসরের দাম কী নির্ধারণ করে?

  • Core Count (কোর কাউন্ট): প্রসেসরটিতে কতগুলো কোর আছে, তার উপর দাম নির্ভর করে। সাধারণত, কোর যত বেশি, দামও তত বেশি।

  • Clock Speed (ক্লক স্পিড): প্রসেসর প্রতি সেকেন্ডে কতটা কাজ করতে পারে, তা ক্লক স্পিড দ্বারা নির্ধারিত হয়। উচ্চ ক্লক স্পিডের প্রসেসরগুলো দ্রুত কাজ করে এবং সাধারণত দামি হয়।

  • Cache (ক্যাশ): প্রসেসরের ক্যাশ মেমোরি যত বেশি, তত দ্রুত এটি তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারে। ফলে, দামও বাড়ে।

  • ব্র্যান্ড (Brand): বর্তমানে বাজারে প্রধানত দুইটি প্রসেসর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান - Intel এবং AMD। সাধারণত, Intel প্রসেসরগুলো একটু বেশি দামি হলেও, AMD প্রসেসরগুলো মূল্যের জন্য বেশি পারফরম্যান্স দেয়।

আপনার জন্য কোন প্রসেসরটি ঠিক?

  • বেসিক কাজ (Basic Work): ওয়েব ব্রাউজিং, ইমেইল, এবং অফিসের কাজের জন্য আপনি একটি এন্ট্রি লেভেলের Intel Core i3 বা AMD Ryzen 3 প্রসেসর বেছে নিতে পারেন।

  • গেমিং এবং মাল্টিটাস্কিং (Gaming and Multitasking): গেম খেলা এবং একাধিক প্রোগ্রাম একসাথে চালানোর জন্য আপনি একটি মিড-রेंজ Intel Core i5 বা AMD Ryzen 5 প্রসেসর বেছে নিতে পারেন।

  • গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ভিডিও এডিটিং (Graphics Design and Video Editing): গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ভিডিও এডিটিংয়ের মতো জটিল কাজের জন্য আপনি একটি হাই-এন্ড Intel Core i7 বা AMD Ryzen 7 প্রসেসর বেছে নিতে পারেন।

মাদারবোর্ড (Motherboard):

মাদারবোর্ড (Motherboard) কম্পিউটারের মূল একটি যন্ত্রাংশ। একে কম্পিউটারের মেরুদণ্ড বা যোগাযোগের কেন্দ্রস্থল বলা চলে। কারণ, মাদারবোর্ডের উপরেই কম্পিউটারের অন্যান্য সকল গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ, যেমন প্রসেসর (CPU), র‍্যাম (RAM), গ্রাফিক্স কার্ড (Graphics Card), হার্ড ডিস্ক (HDD) বা সলিড স্টেট ড্রাইভ (SSD) ইত্যাদি সংযুক্ত করা হয়।

  • Entry-level: ৳ 2,000 - ৳ 5,000

  • Mid-range: ৳ 5,000 - ৳ 10,000

  • High-end: ৳ 10,000+

মাদারবোর্ডের দাম কী নির্ধারণ করে?

  • Socket (সকেট): মাদারবোর্ডের সকেটটি নির্ধারণ করে কোন ধরনের প্রসেসর এটির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। উঁচু স্পেসিফিকেশানের প্রসেসর সমর্থন করতে সক্ষম মাদারবোর্ড সাধারণত দামি হয়।

  • চিপসেট (Chipset): চিপসেট মাদারবোর্ডের উপর থাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইন্টেগ্রেটেড সার্কিট (IC) যা প্রসেসর, র‍্যাম, এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশের মধ্যে যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ করে। উন্নত চিপসেট যুক্ত মাদারবোর্ড সাধারণত দাম বেশি হয়।


  • ফিচার (Features): কিছু মাদারবোর্ডে বিশেষ ফিচার যেমন ওয়াইফাই, বেশি সংখ্যক USB পোর্ট, আরজিবি লাইটিং ইত্যাদি থাকতে পারে। এই ফিচার যত বেশি থাকে, মাদারবোর্ডের দামও তত বেশি হয়।

  • ফর্ম ফ্যাক্টর (Form Factor): মাদারবোর্ডের আকার এবং ডিজাইনকে ফর্ম ফ্যাক্টর বলে। ATX, Micro ATX, এবং Mini ITX কম্পিউটার কেসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এমন বিভিন্ন ফর্ম ফ্যাক্টরের মাদারবোর্ড পাওয়া যায়। সাধারণত, গেমিং পিসি বা ওয়ার্কস্টেশনের জন্য নির্মিত হাই-এন্ড মাদারবোর্ডগুলো ATX ফর্ম ফ্যাক্টরের হয় এবং এগুলো বড় ও দামি হয়ে থাকে।

আপনার জন্য কোন মাদারবোর্ডটি ঠিক?

  • বেসিক কাজ (Basic Work): ওয়েব ব্রাউজিং, ইমেইল, এবং অফিসের কাজের জন্য আপনি একটি এন্ট্রি-লেভেলের মাদারবোর্ড বেছে নিতে পারেন। এগুলো সাধারণত কম দামি কিন্তু প্রয়োজনীয় সকল ফিচার সরবরাহ করে।

  • গেমিং (Gaming): গেম খেলার জন্য আপনি একটি মিড-রेंজের মাদারবোর্ড বেছে নিতে পারেন। এগুলোতে উন্নত চিপসেট এবং ওভারক্লকিং (Overclocking) সুবিধা থাকতে পারে, যা প্রসেসরের পারফরম্যান্স বাড়িয়ে দেয়।

র‍্যাম (RAM):

র‍্যাম (RAM), যার পুরো অর্থ হলো র্যান্ডম এক্সেস মেমোরি (Random Access Memory), কম্পিউটারের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ। একে আমরা কম্পিউটারের দ্রুত মেমোরি হিসেবে অভিহিত করতে পারি। কারণ, র‍্যাম অল্প সময়ের জন্য সেই সব তথ্য ও নির্দেশাবলী স্টোর করে রাখে, যা চলমান প্রোগ্রামগুলো অবিলম্বে অ্যাক্সেস করতে পারে।

  • 4GB: ৳ 1,500 - ৳ 2,000

  • 8GB: ৳ 3,000 - ৳ 4,000

  • 16GB: ৳ 6,000 - ৳ 8,000

  • 32GB: ৳ 12,000 - ৳ 15,000

র‍্যামের দাম কী নির্ধারণ করে?

  • Capacity (ক্যাপাসিটি): র‍্যামের ক্ষমতা যত বেশি, তত বেশি তথ্য এটি ধরে রাখতে পারে। ফলে, দামও বেশি হয়। সাধারণত, 4GB, 8GB, 16GB, এবং 32GB ক্ষমতার র‍্যাম পাওয়া যায়।

  • Speed (স্পিড): র‍্যামের স্পিড যত বেশি, তত দ্রুত তথ্য অ্যাক্সেস করা যায়। উচ্চ স্পিডের র‍্যাম সাধারণত দামি হয়।

  • DDR Generation (DDR জেনারেশন): DDR (Double Data Rate) হলো র‍্যামের প্রযুক্তি। বর্তমানে DDR4 সর্বশেষ প্রজন্মের র‍্যাম, এবং এটি DDR3 এর চেয়ে দ্রুত ও কম বিদ্যুৎ খরচ করে। তবে, DDR4 র‍্যাম সাধারণত দামি।

আপনার জন্য কোন র‍্যামের ক্ষমতা ঠিক?

  • বেসিক কাজ (Basic Work): ওয়েব ব্রাউজিং, ইমেইল, এবং অফিসের কাজের জন্য 4GB র‍্যাম যথেষ্ট।

  • গেমিং এবং মাল্টিটাস্কিং (Gaming and Multitasking): গেম খেলা এবং একাধিক প্রোগ্রাম একসাথে চালানোর জন্য 8GB র‍্যাম ভালো।

  • গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ভিডিও এডিটিং (Graphics Design and Video Editing): জটিল কাজের জন্য 16GB বা 32GB র‍্যাম লাগতে পারে।


কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

  • র‍্যামের ক্ষমতা যত বেশি হয়, তত বেশি প্রোগ্রাম আপনি একসাথে চালাতে পারবেন এবং আপনার কম্পিউটারের পারফরম্যান্স তত দ্রুত হবে।

  • আপনার প্রয়োজনের চেয়ে কম র‍্যাম নির্বাচন করলে আপনার কম্পিউটার ধীর গতিতে চলতে পারে।

  • বেশির ভাগ ক্ষেত্রে, 8GB র‍্যাম আজকের দিনের বেশির ভাগ কাজের জন্য যথেষ্ট। তবে, আপনি যদি গেমিং বা ভিডিও এডিটিং করেন, তাহলে আপনার আরও বেশি র‍্যামের প্রয়োজন হতে পারে।

গ্রাফিক্স কার্ড (Graphics Card):

কম্পিউটারের জগতে গ্রাফিক্স কার্ড (Graphics Card) একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ। এটি মূলত কম্পিউটারে প্রদর্শিত হওয়ার জন্য ইমেজ, ভিডিও, এবং থ্রিডি গ্রাফিক্স তৈরি করে। গ্রাফিক্স কার্ডের দক্ষতা কম্পিউটারের ভিজ্যুয়াল পারফরম্যান্সের উপর সਿੱধা প্রভাব ফেলে।

  • Integrated graphics: ৳ 0 (CPU-তে অন্তর্ভুক্ত)

  • Entry-level: ৳ 5,000 - ৳ 10,000

  • Mid-range: ৳ 10,000 - ৳ 25,000

  • High-end: ৳ 25,000+

কম্পিউটারে দুই ধরনের গ্রাফিক্স কার্ড পাওয়া যায়:

  • ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্স (Integrated Graphics): কিছু প্রসেসরে (CPU) ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক्स থাকে। এগুলো সাধারণত মাদারবোর্ডের সাথে সংযুক্ত থাকে এবং খরচ কমায়। তবে, এগুলোর পারফরম্যান্স সাধারণত কম, ওয়েব ব্রাউজিং এবং অফিসের মতো হালকা কাজের জন্যই उपयुक्त (upoktho, suitable) ।

  • ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কার্ড (Dedicated Graphics Card): এটি একটি পৃথক PCI এক্সপ্রেস (PCIe) স্লটে মাদারবোর্ডের সাথে সংযুক্ত করা হয়। ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কার্ডের নিজস্ব RAM এবং প্রসেসর থাকে, ফলে এগুলো ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্সের চেয়ে অনেক দ্রুত এবং শক্তিশালী হয়।

গ্রাফিক্স কার্ডের দাম কী নির্ধারণ করে?

  • GPU (Graphics Processing Unit): গ্রাফিক্স কার্ডের কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটকে GPU বলা হয়। উন্নত GPU যুক্ত গ্রাফিক্স কার্ড সাধারণত দামি হয়। Nvidia GeForce এবং AMD Radeon বর্তমানে বাজারে প্রধান দুটি GPU নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।

  • VRAM (Video RAM): গ্রাফিক্স কার্ডের নিজস্ব RAMকে VRAM বলা হয়। VRAM যত বেশি, তত বেশি তথ্য এটি প্রক্রিয়াজাত করতে পারে, ফলে দামও বাড়ে।

  • মেমোরি স্পিড (Memory Speed): VRAM এর স্পিড যত বেশি, তত দ্রুত গ্রাফিক্স কার্ডটি তথ্য প্রক্রিয়াজাত করতে পারে। উচ্চ মেমোরি স্পিডের গ্রাফিক্স কার্ড সাধারণত দামি হয়।

  • ফিচার (Features): কিছু গ্রাফিক্স কার্ডে বিশেষ ফিচার যেমন ভিডিও এডিটিং এর জন্য সাহায্যকারী সফ্টওয়্যার, ভিআর (VR) সাপোর্ট, আরজিবি লাইটিং ইত্যাদি থাকতে পারে। এই ফিচার যত বেশি থাকে, গ্রাফিক্স কার্ডের দামও তত বেশি হয়।


হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ (HDD):

  • 500GB: ৳ 1,500 - ৳ 2,000

  • 1TB: ৳ 2,500 - ৳ 3,000

  • 2TB: ৳ 4,000 - ৳ 5,000

  • 4TB: ৳ 7,000 - ৳ 8,000

সলিড স্টেট ড্রাইভ (SSD):

  • 120GB: ৳ 3,000 - ৳ 4,000

  • 250GB: ৳ 5,000 - ৳ 7,000

  • 500GB: ৳ 9,000 - ৳ 12,000

  • 1TB: ৳ 18,000 - ৳ 25,000

কেসিং (Casing):

  • Entry-level: ৳ 1,500 - ৳ 2,000

  • Mid-range: ৳ 2,000 - ৳ 5,000

  • High-end: ৳ 5,000+

পাওয়ার সাপ্লাই (Power Supply):

পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট (পিএসইউ), যাকে সাধারণত পাওয়ার সাপ্লাই বা শুধু পিএসইউ নামেই ডাকা হয়, কম্পিউটারের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ। এটি মূলত বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার হৃদপিণ্ড। দেয়ালের এসি (AC) করেন্টকে ডিসি (DC) করেন্টে রূপান্তরিত করার মাধ্যমে এটি কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশকে সঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে।

  • 450W: ৳ 1,000 - ৳ 1,500

  • 550W: ৳ 1,500 - ৳ 2,000

  • 650W: ৳ 2,000 - ৳ 3,000

  • 750W: ৳ 3,000 - ৳ 4,000

PSU কি করে?

  • AC থেকে DC রূপান্তর: আগে উল্লেখ করা হয়েছে, PSU দেয়াল থেকে আসা AC করেন্ট গ্রহণ করে, যা ক্রমাগত দিক পরিবর্তন করে। PSU এই AC করেন্টকে DC করেন্টে রূপান্তর করে। ডিসি করেন্ট হলো একমুখী বিদ্যুৎ প্রবাহ।

  • ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রণ: কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সঠিকভাবে কাজ করার জন্য ভিন্ন ভোল্টেজের প্রয়োজন হয়। PSU রূপান্তরিত ডিসি ভোল্টেজকে নিয়ন্ত্রণ করে, যাতে এটি বিভিন্ন যন্ত্রাংশকে স্থিতিশীল এবং নির্দিষ্ট ভোল্টেজের সরবরাহ করতে পারে (যেমন, +3.3 ভোল্ট, +5 ভোল্ট, এবং +12 ভোল্ট)।

  • শক্তি সরবরাহ: PSU নিয়ন্ত্রিত ডিসি ভোল্টেজ এবং কারেন্ট বিভিন্ন তারের এবং সংযোগকারীর মাধ্যমে পুরো কম্পিউটার সিস্টেমে বিতরণ করে। এই তারের মাধ্যমে মাদারবোর্ড, CPU, গ্রাফিক্স কার্ড, স্টোরেজ ড্রাইভ এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশের সাথে সংযোগ স্থাপন করা হয়।

  • শক্তি সুরক্ষা: PSU-তে ওভারলোড সুরক্ষা, ওভারভোল্টেজ সুরক্ষা এবং শর্ট সার্কিট সুরক্ষা মতো নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যও থাকে। এই বৈশিষ্ট্যগুলো বিদ্যুৎ সঞ্চালন বা বিদ্যুৎ ঝাঁক লাগার কারণে আপনার কম্পিউটারের সূক্ষ্ম ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশগুলোকে সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

সঠিক PSU নির্বাচন:

আপনি যে মূল্যের পরিসরটি দিয়েছেন (৳ ১,০০০ - ৳ ৪,০০০) তা PSU-এর বিভিন্ন দাম নির্দেশ করে। আর ওয়াট (W) (৪৫০W থেকে ৭৫০W) হলো মূল্য নির্ধারণে প্রভাব ফেলানো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ওয়াট হলো PSU কতটা পরিমাণ শক্তি সরবরাহ করতে পারে, তা নির্দেশ করে। PSU-এর ওয়াটেজ নির্বাচনে এখানে একটি সাধারণ নির্দেশিকা দেওয়া হলো:

মনিটর (Monitor) (continued):

  • 24 inch: ৳ 10,000 - ৳ 15,000

  • 27 inch: ৳ 15,000 - ৳ 20,000

  • 32 inch: ৳ 20,000+

উপসংহার

এই বঙ্গলার মাধ্যমে আমরা ঢাকার বাজারে কম্পিউটারের বিভিন্ন জনপ্রিয় যন্ত্রপাতির আনুমানিক দাম সম্পর্কে জানতে পেরেছি।


কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখা উচিত:

  • উপরে দেওয়া দামগুলো কেবলমাত্র একটি ধারণা দেয়। বাস্তব দাম ব্র্যান্ড, মডেল, দোকান এবং বাজারের অবস্থার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।

  • আপনার প্রয়োজন এবং বাজেট অনুযায়ী যন্ত্রাংশ নির্বাচন করুন।

  • পুরো কম্পিউটার না কিনে আলাদা আলাদা যন্ত্রাংশ কিনে নিয়ে একটা কাস্টম পিসি বানানো যেতে পারে। এতে আপনার প্রয়োজন এবং বাজেটের সাথে মেলে এমন যন্ত্রাংশ নির্বাচন করা যায়।

  • অনলাইনে কেনাকাটা করার আগে বিভিন্ন দোকানের দাম তুলনা করুন।

  • কাস্টমার রিভিউ পড়ে কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ কেনা ভালো।

আশা করি এই তথ্য আপনাকে কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের দাম সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে।

শুভকামনা!


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টেকফ্রেম এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।

comment url