TECH_FREM | BANGLA TECH BLOG☑️

Tech_Frem IS BEST LEARNING ZONE

কম্পিউটার টাইপিং টিপস এন্ড ট্রিকস

প্রতিদিন ৫০০ টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়আপনি আমাদের এই আর্টিকেলটি করছেন তার মানে নিশ্চয়ই আপনার একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ রয়েছে।


আর্টিকেলে উল্লেখ করা টিপস এন্ড ট্রিকস ফলো করার মাধ্যমে আপনি আপনার কম্পিউটারের বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যার সমাধান করতে পারেন এবং স্মার্ট ভাবে কম্পিউটার টি ব্যবহার করতে পারবেন ।। চলুন শুরু করা যাক।।

.

পেনড্রাইভ বা মেমোরিতে লুকানো ফাইল বের করাঃ

  • সার্চ অপশনে গিয়ে “.” (শুধু ডট) লিখে সার্চ দিন। সব লুকানো ফাইল চলে আসবে।

পেনড্রাইভ বা মেমোরিতে লুকানো ফাইল বের করার পদ্ধতিঃ

প্রথম পদ্ধতি:

  • Start মেনুতে ক্লিক করুন এবং Search bar-এ "." (শুধু ডট) লিখুন।

  • Search options-এ Hidden files and folders অপশনে Show hidden files, folders, and drives নির্বাচন করুন।

  • Apply এবং OK বাটনে ক্লিক করুন।

এই পদ্ধতিতে, আপনার পেনড্রাইভ/মেমোরি কার্ডের সকল লুকানো ফাইল এবং ফোল্ডার দেখা যাবে।

দ্বিতীয় পদ্ধতি:

  • Command Prompt খুলুন। Windows key + R চেপে Run dialogue box খুলুন। cmd লিখে Enter চাপুন।

  • Command Prompt-এ নিম্নলিখিত কমান্ড টাইপ করুন:

attrib -h /s /d *.*

আরো পড়ুনঃপ্রতিদিন ৫০০ টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়

এই কমান্ডটি আপনার পেনড্রাইভ/মেমোরি কার্ডের সকল লুকানো ফাইলের "hidden" অ্যাট্রিবিউট সরিয়ে ফেলবে। এর ফলে, লুকানো ফাইলগুলো স্বাভাবিকভাবে দেখা যাবে।

লুকানো ফাইল দেখার পর:

  • আপনি যদি লুকানো ফাইলগুলো পুনরায় লুকাতে চান, Command Prompt-এ নিম্নলিখিত কমান্ড টাইপ করুন:

attrib +h /s /d *.*


  • আপনি যদি লুকানো ফাইলগুলো মুছে ফেলতে চান, Shift key চেপে ধরে Delete key চাপুন।

সতর্কতা:

  • লুকানো ফাইল মুছে ফেলার পূর্বে, সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ কিনা তা নিশ্চিত হয়ে নিন।

  • কিছু লুকানো ফাইল সিস্টেম ফাইল হতে পারে, যা মুছে ফেললে আপনার পেনড্রাইভ/মেমোরি কার্ডের কার্যকারিতা ব্যাহত হতে পারে।

অতিরিক্ত তথ্য:

  • লুকানো ফাইল দেখার জন্য, Windows Explorer-এ View ট্যাবে যান এবং Hidden items checkbox নির্বাচন করুন।

  • লুকানো ফাইল তৈরি করার জন্য, File Explorer-এ একটি ফাইল বা ফোল্ডার নির্বাচন করুন। Right-click করে Properties নির্বাচন করুন। General ট্যাবে Hidden checkbox নির্বাচন করুন।



টেম্পোরারি ফাইল ডিলিট করাঃ

  • GO “RUN” – tree লিখে এন্টার করুন।

  • GO “RUN” – prefetch লিখে এন্টার করুন। (একটা নতুন উইন্ডো আসবে সব ফোল্ডার এবং ফাইল ডিলিট করুন।)

  • GO “RUN” – temp লিখে এন্টার করুন। এখন টেম্পোরারী ফাইল গুলো ডিলিট করুন।

  • GO “RUN” – %temp% লিখে এন্টার করুন। এখন টেম্পোরারী ফাইল গুলো ডিলিট করুন।

  • প্রতিটা ড্রাইভের উপর মাউসের রাইট বাটনে ক্লিক করুন তারপর Properties এ ক্লিক করুন ডিস্ক ক্লিনআপ এ ক্লিক করুন।



টেম্পোরারি ফাইল ডিলিট করার পদ্ধতিঃ

কম্পিউটারের গতি বাড়াতে এবং ডিস্ক স্পেস খালি করতে টেম্পোরারী ফাইল ডিলিট করা গুরুত্বপূর্ণ।

নিচে টেম্পোরারী ফাইল ডিলিট করার কয়েকটি পদ্ধতি দেওয়া হলো:

১. “Run” ডায়ালগ বক্স ব্যবহার করে:

  • Windows key + R চেপে Run ডায়ালগ বক্স খুলুন।

  • নিম্নলিখিত কমান্ডগুলো টাইপ করে Enter চাপুন:

tree


এই কমান্ডটি *C:* ড্রাইভের সকল ফোল্ডার এবং ফাইলের একটি ট্রি স্ট্রাকচার দেখাবে।

prefetch


এই কমান্ডটি Prefetch ফোল্ডার খুলবে। এই ফোল্ডারে অ্যাপ্লিকেশন দ্রুত লোড করার জন্য উইন্ডোজ দ্বারা তৈরি করা ফাইল থাকে।

temp


এই কমান্ডটি Temp ফোল্ডার খুলবে। এই ফোল্ডারে অ্যাপ্লিকেশন দ্বারা তৈরি করা টেম্পোরারী ফাইল থাকে।

%temp%


এই কমান্ডটি %temp% পরিবেশগত ভেরিয়েবল দ্বারা নির্দেশিত ফোল্ডার খুলবে। এই ফোল্ডারেও অ্যাপ্লিকেশন দ্বারা তৈরি করা টেম্পোরারী ফাইল থাকে।

প্রতিটি ফোল্ডারে:

  • Ctrl + A চেপে সকল ফাইল নির্বাচন করুন।

  • Delete key চেপে ফাইলগুলো মুছে ফেলুন।

২. Disk Cleanup ব্যবহার করে:

  • File Explorer খুলুন।

  • যে ড্রাইভের টেম্পোরারী ফাইল ডিলিট করতে চান সেটিতে right-click করুন।

  • Properties নির্বাচন করুন।

  • General ট্যাবে Disk Cleanup বাটনে ক্লিক করুন।

  • Temporary Files checkbox নির্বাচন করুন।

  • OK বাটনে ক্লিক করুন।

Disk Cleanup টুলটি আপনাকে ডিস্ক স্পেস খালি করতে সাহায্য করবে। এটি টেম্পোরারী ফাইল সহ অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় ফাইলও মুছে ফেলতে পারে।

৩. CCleaner ব্যবহার করে:

  • CCleaner একটি বিনামূল্যের অ্যাপ্লিকেশন যা টেম্পোরারী ফাইল সহ অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় ফাইল মুছে ফেলতে পারে।

  • CCleaner ডাউনলোড এবং ইনস্টল করুন।

  • CCleaner খুলুন।

  • Cleaner ট্যাবে Windows এবং Applications অধীনে Temporary Files checkbox নির্বাচন করুন।

  • Run Cleaner বাটনে ক্লিক করুন।

CCleaner আপনার কম্পিউটার থেকে টেম্পোরারী ফাইল এবং অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় ফাইল মুছে ফেলে আপনার ডিস্ক স্পেস খালি করতে এবং কম্পিউটারের গতি বাড়াতে সাহায্য করবে।


কম্পিউটার হ্যাং হওয়ার কারণঃ

  • প্রসেসরের মান বা কাজের তুলনায় স্পীড কম হলে।

  • র‌্যামের তুলনায় বেশী পরিমাণ কাজ করলে।

  • হার্ডডিক্স এর কানেকশন এবং প্রসেসরের কানেকশন ঠিকমত না হলে।

  • Cooling Fan স্পীডে ঘুরছে না।

  • hard diskএ Bad sector থাকলে।

  • অপারেটিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকলে।

  • কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে।

  • হাই গ্রাফিক্স সম্পন্ন গেইম চালালে।

  • কম্পিউটারের ফাইলগুলো এলোমেলোভাবে সাজানো থাকলে।



কম্পিউটার হ্যাং হওয়ার আরো কিছু কারণঃ

কম্পিউটার হ্যাং হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে।

কিছু সম্ভাব্য কারণ নীচে তুলে ধরা হল:

১. হার্ডওয়্যার সমস্যা:

  • প্রসেসর: প্রসেসরের মান বা কাজের তুলনায় স্পীড কম হলে কম্পিউটার হ্যাং হতে পারে।

  • RAM: RAM-এর পরিমাণ কাজের চাহিদার তুলনায় কম হলে কম্পিউটার হ্যাং হতে পারে।

  • হার্ড ডিস্ক: হার্ড ডিস্কের কানেকশন ঠিকমত না হলে, bad sector থাকলে, বা পুরোনো হলে কম্পিউটার হ্যাং হতে পারে।

  • Cooling Fan: Cooling fan স্পীডে না ঘুরলে প্রসেসর অতিরিক্ত গরম হয়ে কম্পিউটার হ্যাং হতে পারে।

২. সফটওয়্যার সমস্যা:

  • অপারেটিং সিস্টেম: অপারেটিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকলে কম্পিউটার হ্যাং হতে পারে।

  • ভাইরাস: কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে হ্যাং হতে পারে।

  • অন্যান্য সফটওয়্যার: কিছু অ্যাপ্লিকেশন, বিশেষ করে হাই গ্রাফিক্স সম্পন্ন গেম, কম্পিউটারের ক্ষমতার চেয়ে বেশি চাপ দিলে হ্যাং হতে পারে।

৩. অন্যান্য কারণ:

  • কম্পিউটারের ফাইলগুলো এলোমেলোভাবে সাজানো থাকলে: এটি কম্পিউটারকে কাজ করতে অতিরিক্ত সময় নিতে পারে এবং হ্যাং হতে পারে।

  • অতিরিক্ত সফটওয়্যার চালানো: একসাথে অনেক সফটওয়্যার চালানো কম্পিউটারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং হ্যাং হতে পারে।

  • ডাস্ট: কম্পিউটারের ভেতরে জমা ধুলোবালি হার্ডওয়্যারের কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে এবং হ্যাং হতে পারে।

কম্পিউটার হ্যাং হওয়া রোধ করার জন্য:

  • নিয়মিত আপনার কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার আপডেট করুন।

  • ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন এবং নিয়মিত আপডেট করুন।

  • একসাথে অনেক সফটওয়্যার চালানো এড়িয়ে চলুন।

  • নিয়মিত আপনার কম্পিউটারের ডাস্ট পরিষ্কার করুন।

  • কম্পিউটারের ফাইলগুলো সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখুন।

কম্পিউটার হ্যাং হলে:

  • কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন।

  • কম্পিউটার রিস্টার্ট করুন।

  • Task Manager ব্যবহার করে হ্যাং করা প্রোগ্রামটি বন্ধ করুন।

  • সর্বশেষে, আপনার কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার পরীক্ষা করে দেখুন কোন সমস্যা আছে কিনা।

আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার জন্য সহায়ক হবে।



মনিটরে ছবি না দেখা গেলেঃ

  • মনিটরটি on এবং brightness control ঠিকমত সেট আছে কিনা খেয়াল করুন।

  • মনিটর এর সকল কানেকশন চেক করুন।

  • surge protector টি চালু কি না চেক করুন।

  • অবশেষে আপনার পিসি থেকে রেম টি খুলে তা রাবারের মাধ্যমে ঘোষে পরিষ্কার করে শেট করুন।


RAM এর কার্যকারিতা বাড়ানোঃ

কিছু সময় পরপর Start থেকে Run-এ ক্লিক করে tree লিখে ok করুন।


হঠাৎ করে স্লো হয়ে গেলেঃ

  • Ctrl + Alt + Delete চেপে বা টাস্কবারে মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Task Manager খুলুন।

  • Processes-এ ক্লিক করুন।

  • বর্তমানে যে প্রোগ্রামগুলো কাজে লাগছে না সেগুলো নির্বাচন করে End Process-এ ক্লিক করে বন্ধ করে দেন।


ডিস্ক ক্লিনআপ করাঃ

  • প্রতি সপ্তাহ একবার আপনার hard drive Defragment এবং disk cleanup করুন।


পিস ইস সেফ মোডে চালু হলেঃ

  • রিস্টার্ট করে দেখা যেতে পারে পুনরায় স্বাভাবিকভাবে তা চালু হয় কিনা।

  • বার বার করে ব্যর্থ হলে বুঝতে হবে সমস্যাটি গুরুতর।

  • উইন্ডোজের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফাইলের ক্ষতি বা হার্ডওয়্যারের সমস্যার কারণে তা হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টেকফ্রেম এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।

comment url